জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল (Honours Admission Result 2025) চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ শনিবার (২১ জুন) রাতে ঢাকার ধানমন্ডিতে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ফল প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষ। বর্তমানে যাচাই-বাছাই চলছে। ফলাফল যেকোনো দিন—২৩ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে।
উল্লেখ্য, আট বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা (Honours Admission 2025) অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এরপর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হতো। তবে এবার সেই নিয়মে পরিবর্তন এনে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।
গত ৩১ মে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলার ৮৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করে পাঁচ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। পরীক্ষাটি এমসিকিউ পদ্ধতিতে নেওয়া হয়, যেখানে ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রের উত্তর দিতে সময় ছিল এক ঘণ্টা। পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৫। জানা গেছে, ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না।
মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে তিনটি ধাপে: ভর্তি পরীক্ষার নম্বর, এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর ৪০% এবং এইচএসসির জিপিএর ৬০%—এই তিনটি যোগ করে সর্বমোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।
মেধাতালিকা তৈরির নিয়ম
- এমসিকিউ পরীক্ষার নম্বর
- এসএসসি জিপিএর ৪০% (চতুর্থ বিষয়সহ)
- এইচএসসি জিপিএর ৬০%
এই তিনের যোগফল অনুযায়ী মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (সম্মান) কোর্স পরিচালিত হয় দেশের ৮৮১টি কলেজে। এর মধ্যে সরকারি কলেজ ২৬৪টি এবং বেসরকারি ৬১৭টি। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে আসন ছিল প্রায় ৪ লাখ ৩৬ হাজার। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি পাস কোর্সে আসন ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৮৮১টি কলেজ, এর মধ্যে
- সরকারি: ২৬৪টি
- বেসরকারি: ৬১৭টি
ভর্তিযোগ্য আসন
- স্নাতক (সম্মান) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে: ৪,৩৬,২৮৫টি আসন
- ডিগ্রি পাস কোর্স ২০২৩-২৪: ৪,২১,৯৯০টি আসন
এবারও প্রতি বিষয়ের নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন কোটা ভিত্তিতে সংরক্ষিত থাকবে। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৩টি, আদিবাসী ১টি, প্রতিবন্ধী ১টি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোষ্য কোটা হিসেবে ৩টি আসন নির্ধারিত থাকবে।
পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং নির্ধারিত এসএমএস পদ্ধতির মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।